বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ Profitable business idea without capital 2020-2021

 

বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ Profitable business idea without capital 2020-2021

ইন্টারনেটে ঘন্টার পর ঘন্টা সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যয় না করে আপনি চাইলেই অনলাইনে ভালো একটা ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন শুধু আপনার ইচ্ছা শক্তি এবং দক্ষতার। খুব বেশি কিছু জানা লাগবে এর জন্য তেমনটাও না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ বাদে বাড়তি কোনো খরচ করতে হয়না। অনলাইনে টাকা উপার্জন করা যায় এমন কিছু কাজ নিয়েই আজকের এই ব্লগ।

ব্লগিং

নেকেই বলে থাকেন, বাংলাদেশে এখনও ব্লগ থেকে যথেষ্ট আয়ের সুযোগ নেই। কিন্তু এই দেশের এমন ব্লগাররা রয়েছেন যারা তাঁদের ব্লগ থেকে মাসে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। জানতে হবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি, আর তাহলেই আপনার ব্লগটিই হবে আপনার ভবিষ্যতের আয়ের পথ।কয়েক বছর আগেও  নিজের লেখা গল্প, কবিতা কিংবা প্রবন্ধ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। বড় পত্রিকায় নিজের লেখা ছাপার সুযোগ পান খুবই কমসংখ্যক লেখক। আর এই লেখা থেকে আয় সে সুযোগ তো মেলে ভাগ্যবানদের তবুও তা নেহাতই অল্প। কিন্তু এই কয়েক বছরে বদলে গেছে গোটা চিত্র। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌছেছে তারই হাত ধরে সুযোগ তৈরি হয়েছে ব্লগিংয়ের। নিজের গল্প/কবিতা থেকে শুরু করে, মতামত, ছবি সবকিছুই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় ব্লগের মাধ্যমে। নিয়মিত লিখতে লিখতে তৈরি হয়ে যায় ফ্যান ফলোয়ার। আর এই ফ্যান বা ভিজিটররাই আপনার ব্লগের  আয়ের হাতিয়ার।

ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট: 

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলি পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর। এদের কোনো অফিস নেই। সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমেই করা হয়। এই অনলাইন নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলির বিভিন্ন কাজ যেমন ক্রেতাদের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া, ফোনকল রিসিভ করা, অ্যাপয়নমেন্ট ঠিক করা ও ইমেইল লেখার জন্যে দরকার হয় ভার্চুয়াল এসিসটেন্টের। 


বিজনেস কোচ: 

আপনি কোনো একটি বিশেষ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হলে সেই অভিজ্ঞতাটাকে ব্যবহার করতে পারেন উপার্জনের পথ হিসেবে। অনলাইনে বিশ্বের নানান দেশের মানুষজনকে শেখাতে পারেন আপনি যা জানেন। অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল তৈরি করেও চাইলে উপার্জন করতে পারেন।


ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট ক্রিয়েটর:

 ভার্চুয়াল জগতে বর্তমানে কন্টেন্ট দিয়ে মার্কেটিং করার ব্যাপারটা খুবই জনপ্রিয়। সবাই নিজেদের পণ্যটা জনপ্রিয় হোক তা চায়। আপনি যদি একজন ভালো লেখক হন তাহলে চাইলেই বিভিন্ন পণ্য নিয়ে লেখালেখি করে উপার্জনের একটি পথ করতে পারেন।


স্টোর মালিক: 

অনলাইনে কেনাকাটার ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে ইবে খুবই জনপ্রিয়। ভাবছেন সেখান থেকে কেমন করে আয় করা সম্ভব! আসলেই একটু খোঁজ খবর করলেই আপনিও ইবে স্টোর মালিক বনে যেতে পারেন। এটা হবে সম্পূর্ণই ভার্চুয়ালি । আপনাকে মনে রাখতে হবে, প্রায়ই বিভিন্ন পণ্য বিশাল ছাড়ে বিক্রি করে ইবে। মূল বুদ্ধিটা হলো, কম দামে পণ্য কিনে পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রি করা।


অনলাইন টি-শার্ট স্টোর: 

বর্তমানে টি-শার্টের ব্যবসা করার ব্যাপারটা খুবই সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে। আর অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারলেতো কথাই নেই! একটা সময় ছিলো যখন বিশাল পরিমাণে অর্ডার না করলে কোনো প্রতিষ্ঠান টি-শার্ট তৈরি করে দিতো না। কিন্তু বর্তমানে অল্প খরচে কম পরিমাণে টিশার্ট তৈরি করানো সম্ভব। ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে বিভিন্ন ডিজাইনের ভালো মানের টি-শার্ট বিক্রি শুরু করলে সহজেই ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করা সম্ভব।


অনলাইন কনসালটেন্ট: 

কনসালটেন্সি বা পরামর্শক হিসেবেও অনলাইনে একটি ভালো পেশা গড়া সম্ভব। তার আগে আপনাকে অবশ্যই কোন একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হলেও সেই বিষয় সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। একজন পরামর্শদাতা সবসময়ই জানে যে সে কী নিয়ে কথা বলছে। অনলাইনে এবং অনলাইনের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায়ই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনলাইনে জনপ্রিয় পরামর্শদাতাদের স্মরণাপন্ন হয়।


ভিডিও ব্লগিং: 

আপনি যদি অবসরে ইউটিউবে পরে থাকেন তাহলে ভি-ব্লগ শব্দটির সাথে আপনার পরিচিতি থাকার কথা। ভিডিও ব্লগ হলো প্রতিদিনের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করা। বর্তমানে ভিডিও ব্লগিংয়ের মূল কনসেপ্টটা বিপুল মাত্রায় জনপ্রিয় এবং ইউটিউবে ভিডিও ব্লগ আপলোড করে বেশ ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন অসংখ্য ইউটিউবার।


গ্রাফিক্স ডিজাইনার/ওয়েব ডেভেলপার: 

অনলাইনে কেউ কোনোকিছু করতে গেলে শুরুতেই তাদের যা দরকার হয় তা হলো একটি ওয়েবসাইট ও নিজেদের একটি লোগো। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা ওয়েবসাইট ডেভেলপিং-এ অভিজ্ঞ হলে ইন্টারনেটের জগতে আপনার কাজের অভাব হবে না। এই তালিকায় থাকা অন্যান্য কাজগুলির চেয়ে সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য কাজ এই দুটিই। না পারলেও সমস্যা নেই।

বর্তমানে দেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান কোর্স করায় গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা ওয়েবসাইট ডেভেলপিংয়ের উপর। ইচ্ছাশক্তি থাকলে আর সেই ইচ্ছাশক্তিটির প্রয়োগ ঘটাতে পারলে কেবলমাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপারে পরিণত হতে পারবেন! আর বাড়তি সাহায্য হিসেবে ইউটিউবে রয়েছে এসবের উপর অসংখ্য টিউটোরিয়াল।

আপনি খুব স্বল্প খরচে Ghoori Learning থেকে গ্রাফিক ডিজাইনসহ সব ধরনের অনলাইন কোর্স করে নিতে পারবেন ঘরে বসেই।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজটি এই তালিকায় থাকা অন্য কাজগুলির চেয়ে একটু বেশি খরচসাপেক্ষ। কারণ, এক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন পণ্য ও সেবা গ্রহণ করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে মূলত যা হয় তা হলো আপনি অনলাইনে একটি সেবা গ্রহণ করেন এবং তা আপনার পরিচিতজনদের কাছে প্রোমোট করেন। আপনি যাদের কাছে প্রোমোট করেছেন তারা যদি আপনার কথায় সন্তুষ্ট হয়ে সেবাটি গ্রহণ করে তবে সেই প্রতিষ্ঠান লাভ থেকে একটা অংশ আপনাকে প্রদান করে।

Comments